যোনিপথে চুলকানি একটি অস্বস্তিকর এবং প্রায়ই বিব্রতকর সমস্যা যা অনেক মহিলার জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত যোনি ও আশেপাশের ত্বকে তীব্র চুলকানি, লালভাব, ফুসকুড়ি, এবং কখনো কখনো অস্বাভাবিক স্রাবের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। যোনিপথে চুলকানির পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন খামির সংক্রমণ (ক্যান্ডিডিয়াসিস), ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস, যৌন সংক্রমণ (যেমন ট্রাইকোমোনিয়াসিস, হারপিস), অ্যালার্জি, হরমোনের পরিবর্তন, এবং ত্বকের অন্যান্য অবস্থা1245।
যোনিপথে চুলকানি হলে করনীয়
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: যোনিপথে চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের কাছে যান এবং সঠিক রোগ নির্ণয় করান14।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: যোনি এলাকা নিয়মিত উষ্ণ জল ও অগন্ধযুক্ত, কোমল সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ধোয়া বা ডাচিং এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে যোনির প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে4।
সঠিক ওষুধ গ্রহণ করুন: খামির সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা সাপোজিটরি, ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক, এবং প্রয়োজনে অ্যালার্জি বা প্রদাহ কমানোর জন্য স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন145।
ঘরোয়া প্রতিকার: গরম পানির সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে যোনি ধোয়া, বরফ প্রয়োগ ইত্যাদি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে3।
পরিষ্কার ও শুষ্ক অন্তর্বাস পরুন: টাইট বা সিন্থেটিক কাপড় পরিহার করে শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন4।
অ্যালার্জেন থেকে বিরত থাকুন: সুগন্ধিযুক্ত সাবান, ডিটারজেন্ট, ফেমিনিন স্প্রে, রঙিন টিস্যু পেপার ইত্যাদি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন5।
যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখুন: যৌন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক বজায় রাখুন এবং সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন14।
মানসিক চাপ কমান: স্ট্রেস ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে, তাই যোগব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদি মানসিক চাপ কমানোর উপায় গ্রহণ করুন4।
যোনিপথে চুলকানি সাধারণত সঠিক পরিচর্যা ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি124।
যোনিপথে চুলকানি হলে কোন আলোকচিকিত্সা কার্যকর
যোনিপথে চুলকানি হলে কিছু কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করে অস্বস্তি কমানো সম্ভব। নিচে উল্লেখিত কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি যোনিপথের চুলকানি উপশমে সহায়ক:
দইয়ের ব্যবহার: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে এবং ছত্রাক সংক্রমণ কমায়। দইয়ের একটি পট্টি ঘণ্টা ভিজিয়ে যোনিতে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন অথবা নিয়মিত দই খাওয়া যেতে পারে12।
নারকেল তেল: নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ চুলকানি ও সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। গরম করে সামান্য নারকেল তেল চুলকানি স্থানে লাগানো যায়18।
আপেল সাইডার ভিনেগার: গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে যোনি ধোয়া যেতে পারে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক2।
অ্যালোভেরা জেল: তাজা অ্যালোভেরা জেল চুলকানি ও প্রদাহ কমায়। আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন14।
বরফ সেঁক: ঠাণ্ডা বরফ বা বরফ মুড়ে সুতির কাপড় দিয়ে যোনিপথে সেঁক দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়257।
লবণ জল স্নান: গোসলের পানিতে ৪ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে আধ ঘণ্টা ভিজে থাকা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে2।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: গোপনাঙ্গ নিয়মিত সাধারণ জল দিয়ে পরিষ্কার করুন, সুগন্ধিযুক্ত সাবান ও ডুশ এড়িয়ে চলুন। সুতির শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য অন্তর্বাস পরিধান করুন এবং ঘাম ভিজে থাকলে অন্তর্বাস দ্রুত পরিবর্তন করুন25।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো প্রাথমিকভাবে চুলকানি কমাতে সাহায্য করে, তবে যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাড়তে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যোনিপথে চুলকানি হলে কোন প্রতিকার সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে
যোনিপথে চুলকানি হলে সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে এমন প্রতিকার সাধারণত এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ (যদি চুলকানির কারণ খামির সংক্রমণ হয়) বা এন্টিবায়োটিক (যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থাকে) হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, খামির সংক্রমণে ব্যবহৃত ketoconazole, miconazole, clotrimazole, tioconazole, fluconazole ইত্যাদি এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে কার্যকর হতে পারে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে একদিনের মধ্যেই উপসর্গ কমতে শুরু করে13।
অতিরিক্ত চুলকানি ও অস্বস্তি কমানোর জন্য Lidocaine নামক জেল ব্যবহার করলে তা সাময়িক আরাম দেয়, তবে এটি পুরো সমস্যার সমাধান নয়1।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশ্রিত গরম পানিতে যোনি ধোয়া, ঠান্ডা বরফ সেঁক, এবং নারকেল তেল প্রয়োগ দ্রুত আরাম দিতে পারে, তবে এগুলো মূল সংক্রমণ নিরাময়ে তুলনামূলক ধীরগতির6।
সুতরাং, যোনিপথে চুলকানি হলে দ্রুত আরামের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত এন্টিফাঙ্গাল বা এন্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ সবচেয়ে কার্যকর এবং দ্রুত কাজ করে135। ঘরোয়া প্রতিকার সহায়ক হলেও মূল সংক্রমণ সারাতে চিকিৎসা অপরিহার্য।
যোনিপথে চুলকানি হলে কোন ওষুধ দ্রুত কাজ করে
যোনিপথে চুলকানি হলে দ্রুত কাজ করে এমন ওষুধ প্রধানত সংক্রমণের ধরনে নির্ভর করে। যদি চুলকানির কারণ খামির সংক্রমণ (যেমন ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন) হয়, তাহলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ যেমন ক্লোট্রিমাজোল, মাইকোনাজোল, কিটোকোনাজোল, ফ্লুকোনাজোল বা টাইকোনাজোল দ্রুত কার্যকর হয় এবং সাধারণত ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে উপসর্গ কমাতে শুরু করে24।
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মেট্রোনিডাজল, ক্লিন্ডামাইসিন বা টিনিডাজোল ব্যবহৃত হয়, যা ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে উপশম দেয়25।
চুলকানি ও অস্বস্তি দ্রুত কমাতে Lidocaine নামক জেল বা ক্রিম সাময়িক আরাম দিতে পারে, তবে এটি সমস্যার পুরো সমাধান নয়2।
স্টেরয়েড ক্রিম যেমন হাইড্রোকোর্টিসোন বা ক্লোবেটাসল প্রদাহ ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে, তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত5।
সুতরাং, যোনিপথে চুলকানি হলে দ্রুত আরামের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ সবচেয়ে কার্যকর এবং দ্রুত কাজ করে। ঘরোয়া প্রতিকার সহায়ক হলেও মূল সংক্রমণ সারাতে চিকিৎসা অপরিহার্য25।
উপসংহার
যোনিপথে চুলকানি একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা নারীস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি, কারণ ভুল বা বিলম্বিত চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার সাময়িক আরাম দিলেও, মূল সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ গ্রহণ সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ। পাশাপাশি, দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস ও সচেতনতা বজায় রাখলে যোনিপথে চুলকানি প্রতিরোধ ও দ্রুত উপশম সম্ভব। নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হোন এবং কোনো সমস্যা হলে সংকোচ না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন—এটাই সুস্থ ও সুন্দর জীবনের চাবিকাঠি।
যোনিপথে চুলকানি? জেনে নিন করণীয় ও প্রতিকার
April 20, 2025
Health
No Comments
Author
যোনিপথে চুলকানি একটি অস্বস্তিকর এবং প্রায়ই বিব্রতকর সমস্যা যা অনেক মহিলার জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে। এটি সাধারণত যোনি ও আশেপাশের ত্বকে তীব্র চুলকানি, লালভাব, ফুসকুড়ি, এবং কখনো কখনো অস্বাভাবিক স্রাবের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। যোনিপথে চুলকানির পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন খামির সংক্রমণ (ক্যান্ডিডিয়াসিস), ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস, যৌন সংক্রমণ (যেমন ট্রাইকোমোনিয়াসিস, হারপিস), অ্যালার্জি, হরমোনের পরিবর্তন, এবং ত্বকের অন্যান্য অবস্থা1245।
যোনিপথে চুলকানি হলে করনীয়
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: যোনিপথে চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী বা গুরুতর হলে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্টের কাছে যান এবং সঠিক রোগ নির্ণয় করান14।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: যোনি এলাকা নিয়মিত উষ্ণ জল ও অগন্ধযুক্ত, কোমল সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত ধোয়া বা ডাচিং এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে যোনির প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে4।
সঠিক ওষুধ গ্রহণ করুন: খামির সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা সাপোজিটরি, ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক, এবং প্রয়োজনে অ্যালার্জি বা প্রদাহ কমানোর জন্য স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন145।
ঘরোয়া প্রতিকার: গরম পানির সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে যোনি ধোয়া, বরফ প্রয়োগ ইত্যাদি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে3।
পরিষ্কার ও শুষ্ক অন্তর্বাস পরুন: টাইট বা সিন্থেটিক কাপড় পরিহার করে শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করুন4।
অ্যালার্জেন থেকে বিরত থাকুন: সুগন্ধিযুক্ত সাবান, ডিটারজেন্ট, ফেমিনিন স্প্রে, রঙিন টিস্যু পেপার ইত্যাদি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন5।
যৌন স্বাস্থ্য বজায় রাখুন: যৌন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক বজায় রাখুন এবং সন্দেহ হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন14।
মানসিক চাপ কমান: স্ট্রেস ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে, তাই যোগব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদি মানসিক চাপ কমানোর উপায় গ্রহণ করুন4।
যোনিপথে চুলকানি সাধারণত সঠিক পরিচর্যা ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হলে বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি124।
যোনিপথে চুলকানি হলে কোন আলোকচিকিত্সা কার্যকর
যোনিপথে চুলকানি হলে কিছু কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার অবলম্বন করে অস্বস্তি কমানো সম্ভব। নিচে উল্লেখিত কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি যোনিপথের চুলকানি উপশমে সহায়ক:
দইয়ের ব্যবহার: দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে এবং ছত্রাক সংক্রমণ কমায়। দইয়ের একটি পট্টি ঘণ্টা ভিজিয়ে যোনিতে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন অথবা নিয়মিত দই খাওয়া যেতে পারে12।
নারকেল তেল: নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ চুলকানি ও সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। গরম করে সামান্য নারকেল তেল চুলকানি স্থানে লাগানো যায়18।
আপেল সাইডার ভিনেগার: গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে যোনি ধোয়া যেতে পারে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক2।
অ্যালোভেরা জেল: তাজা অ্যালোভেরা জেল চুলকানি ও প্রদাহ কমায়। আক্রান্ত স্থানে সরাসরি লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন14।
বরফ সেঁক: ঠাণ্ডা বরফ বা বরফ মুড়ে সুতির কাপড় দিয়ে যোনিপথে সেঁক দিলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়257।
লবণ জল স্নান: গোসলের পানিতে ৪ টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে আধ ঘণ্টা ভিজে থাকা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে2।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: গোপনাঙ্গ নিয়মিত সাধারণ জল দিয়ে পরিষ্কার করুন, সুগন্ধিযুক্ত সাবান ও ডুশ এড়িয়ে চলুন। সুতির শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য অন্তর্বাস পরিধান করুন এবং ঘাম ভিজে থাকলে অন্তর্বাস দ্রুত পরিবর্তন করুন25।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো প্রাথমিকভাবে চুলকানি কমাতে সাহায্য করে, তবে যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা বাড়তে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যোনিপথে চুলকানি হলে কোন প্রতিকার সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে
যোনিপথে চুলকানি হলে সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে এমন প্রতিকার সাধারণত এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ (যদি চুলকানির কারণ খামির সংক্রমণ হয়) বা এন্টিবায়োটিক (যদি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ থাকে) হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, খামির সংক্রমণে ব্যবহৃত ketoconazole, miconazole, clotrimazole, tioconazole, fluconazole ইত্যাদি এন্টিফাঙ্গাল ওষুধ ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে কার্যকর হতে পারে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে একদিনের মধ্যেই উপসর্গ কমতে শুরু করে13।
অতিরিক্ত চুলকানি ও অস্বস্তি কমানোর জন্য Lidocaine নামক জেল ব্যবহার করলে তা সাময়িক আরাম দেয়, তবে এটি পুরো সমস্যার সমাধান নয়1।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপেল সাইডার ভিনেগার মিশ্রিত গরম পানিতে যোনি ধোয়া, ঠান্ডা বরফ সেঁক, এবং নারকেল তেল প্রয়োগ দ্রুত আরাম দিতে পারে, তবে এগুলো মূল সংক্রমণ নিরাময়ে তুলনামূলক ধীরগতির6।
সুতরাং, যোনিপথে চুলকানি হলে দ্রুত আরামের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত এন্টিফাঙ্গাল বা এন্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ সবচেয়ে কার্যকর এবং দ্রুত কাজ করে135। ঘরোয়া প্রতিকার সহায়ক হলেও মূল সংক্রমণ সারাতে চিকিৎসা অপরিহার্য।
যোনিপথে চুলকানি হলে কোন ওষুধ দ্রুত কাজ করে
যোনিপথে চুলকানি হলে দ্রুত কাজ করে এমন ওষুধ প্রধানত সংক্রমণের ধরনে নির্ভর করে। যদি চুলকানির কারণ খামির সংক্রমণ (যেমন ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন) হয়, তাহলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ যেমন ক্লোট্রিমাজোল, মাইকোনাজোল, কিটোকোনাজোল, ফ্লুকোনাজোল বা টাইকোনাজোল দ্রুত কার্যকর হয় এবং সাধারণত ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে উপসর্গ কমাতে শুরু করে24।
ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক যেমন মেট্রোনিডাজল, ক্লিন্ডামাইসিন বা টিনিডাজোল ব্যবহৃত হয়, যা ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে উপশম দেয়25।
চুলকানি ও অস্বস্তি দ্রুত কমাতে Lidocaine নামক জেল বা ক্রিম সাময়িক আরাম দিতে পারে, তবে এটি সমস্যার পুরো সমাধান নয়2।
স্টেরয়েড ক্রিম যেমন হাইড্রোকোর্টিসোন বা ক্লোবেটাসল প্রদাহ ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে, তবে এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত5।
সুতরাং, যোনিপথে চুলকানি হলে দ্রুত আরামের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গ্রহণ সবচেয়ে কার্যকর এবং দ্রুত কাজ করে। ঘরোয়া প্রতিকার সহায়ক হলেও মূল সংক্রমণ সারাতে চিকিৎসা অপরিহার্য25।
উপসংহার
যোনিপথে চুলকানি একটি সাধারণ কিন্তু অস্বস্তিকর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা নারীস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি, কারণ ভুল বা বিলম্বিত চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার সাময়িক আরাম দিলেও, মূল সংক্রমণ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ গ্রহণ সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ। পাশাপাশি, দৈনন্দিন পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যসম্মত অভ্যাস ও সচেতনতা বজায় রাখলে যোনিপথে চুলকানি প্রতিরোধ ও দ্রুত উপশম সম্ভব। নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হোন এবং কোনো সমস্যা হলে সংকোচ না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন—এটাই সুস্থ ও সুন্দর জীবনের চাবিকাঠি।
যোনিপথে চুলকানি? জেনে নিন করণীয় ও প্রতিকার