চুল মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু বয়স, পরিবেশগত প্রভাব, পুষ্টির অভাব কিংবা বংশগত কারণে অনেকেরই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এতে আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং মন খারাপও হয়। তাই নতুন চুল গজানোর উপায় জানা এবং সেগুলো নিয়মিত অনুসরণ করা খুবই জরুরি। নতুন চুল গজানোর জন্য মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পকে উদ্দীপিত করা, রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো এবং সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা প্রয়োজন। নিচে চুল গজানোর কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো।
চুল গজানোর কার্যকর উপায়
ম্যাসাজ ও স্ক্যাল্প উদ্দীপনানিয়মিত মাথায় ম্যাসাজ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেল নিয়ে ৫-৬ মিনিট ম্যাসাজ করলে চুলের পুষ্টি বাড়ে। এছাড়া চা এর নির্যাস মিশিয়ে ম্যাসাজ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়1।
ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার ব্যবহার
স্ক্যাল্পে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার দিয়ে ৫-১০ মিনিট ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করলে চুল পড়ার স্থানগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়1।
প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার
কেশরাজ বা কালোকেশী পাতা: লবণপানি দিয়ে ধুয়ে রস করে মাথায় লাগিয়ে উষ্ণ নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করলে নতুন চুল গজায়23।
কচি বাঁশপাতা: রস করে মাথায় লাগিয়ে তিলের তেল দিয়ে মালিশ করলে চুল গজাতে সাহায্য করে2।
আদা: খোসাসহ রস করে মাথায় প্রয়োগ ও তিল-ক্যাস্টর তেলের মালিশ নতুন চুল গজানোর জন্য কার্যকর2।
আমলকি, মেথি, শিকাকাই: এই উপকরণগুলোর মিশ্রণ দিয়ে মাথায় প্রয়োগ করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং নতুন চুল গজায়23।
ঘরোয়া টোটকা ও যত্ন
আমলকি ও মেথি চুলের জন্য পুষ্টিকর এবং খুশকি কমায়3।
অ্যালো ভেরা জেল সপ্তাহে কয়েকবার মাথায় মেখে রাখা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে3।
জবা ফুলের পাপড়ি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নানের আগে মাথায় লাগালে চুল ঘন হয়3।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং অতিরিক্ত আঁচড়ানো এড়ানো উচিত1।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
চুল গজানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধ, পেয়ারা, লেবু, কমলা ইত্যাদি খেলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়1।
ম্যাসাজ করার পরে চুল গজানোর জন্য সঠিক খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ চুলের বৃদ্ধি প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ওপর নির্ভর করে। ম্যাসাজের মাধ্যমে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো হলে শরীর থেকে চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছানো আরও কার্যকর হয়। তাই নিচের খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে নতুন চুল গজানোতে সাহায্য পাওয়া যায়।
ম্যাসাজের পরে চুল গজানোর জন্য উপযোগী খাবার
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
চুল মূলত কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত। তাই মাছ, মাংস, ডিম, পনির, দুধ, সয়াবিন, মটরশুঁটি, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে145।
ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড
তৈলাক্ত মাছ যেমন ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা মাছ এবং বাদাম জাতীয় খাবার ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা চুলকে ঘন ও কালো রাখতে সাহায্য করে256।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হলুদ সবজি ও ফলমূল
গাজর, মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা চুলের ফলিকলকে সুস্থ রাখতে সহায়ক2।
আয়রন ও জিঙ্কযুক্ত খাবার
আয়রন ও জিঙ্ক চুলের কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে এবং নতুন টিস্যু তৈরিতে সাহায্য করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, ডাল, ছোলা, টক দই এই উপাদানে সমৃদ্ধ24।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টকজাতীয় ফল
পেয়ারা, লেবু, কমলা, আমলকি, মাল্টা, আঙুর, কাঁচা আম, কিউই ইত্যাদি ভিটামিন সি দেয়, যা আয়রনের শোষণ বাড়িয়ে চুল পড়া কমায় এবং চুল গজাতে সাহায্য করে245।
বীজ ও বাদাম
চিনাবাদাম, শিম, চিয়া সিড, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, তিসির বীজ ইত্যাদি চুলের জন্য দরকারি বায়োটিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক ও ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে235।
শাকসবজি ও ফলমূল
পালংশাক, শজনে ডাঁটা, শসা ইত্যাদি ভিটামিন, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে235।
সংক্ষেপে
খাবারের ধরন
উপকারিতা
উদাহরণ
প্রোটিন
চুলের মূল উপাদান, নতুন চুল গজায়
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, পনির, সয়াবিন
ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬
চুল ঘন ও কালো করে, চুল পড়া কমায়
ইলিশ, কই, বাদাম, চিনাবাদাম
ভিটামিন এ
চুলের ফলিকল সুস্থ রাখে
গাজর, মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে
আয়রন ও জিঙ্ক
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, নতুন টিস্যু গঠন করে
মটরশুঁটি, ডাল, ছোলা, বাদাম, টক দই
ভিটামিন সি
আয়রন শোষণ বাড়ায়, চুল পড়া কমায়
পেয়ারা, লেবু, কমলা, আমলকি
বীজ ও বাদাম
চুলের পুষ্টি ও শক্তি বাড়ায়
চিনাবাদাম, চিয়া সিড, সূর্যমুখীর বিচি
শাকসবজি ও ফলমূল
চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে
পালংশাক, শজনে ডাঁটা, শসা
ম্যাসাজের পরে এই ধরনের পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে চুলের বৃদ্ধিতে দ্রুত এবং কার্যকর ফল পাওয়া যায়1245। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন চুলের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
চুল গজানোর জন্য যেসব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়, সেগুলো মূলত চুলের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়ায়। নিচে চুল গজানোর জন্য এড়ানো উচিত এমন খাবারের তালিকা ও কারণ দেওয়া হলো:
চুল গজানোর জন্য এড়ানো উচিত এমন খাবার
সাদা রুটি, পাস্তা, সাদা চাল, ময়দা জাতীয় খাবার
এই ধরনের খাবার চুলকে পাতলা ও দুর্বল করে ফেলে। ময়দা ও সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল, সাদা আটা বা লাল আটা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়3।
চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার
চিনি শরীর থেকে প্রোটিন শোষণকে বাধাগ্রস্ত করে, যা চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। অতিরিক্ত চিনি চুল পড়ার অন্যতম কারণ3।
প্রসেসড বা প্যাকেটজাত খাবার
এগুলোতে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে এবং শরীর ও চুলের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্য খারাপ করে3।
অতিরিক্ত ভিটামিন এ যুক্ত খাবার বা সাপ্লিমেন্ট
বেশি পরিমাণ ভিটামিন এ গ্রহণ করলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে5।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল চুলের পুষ্টি শোষণ কমিয়ে দেয় এবং চুল পড়ার হার বাড়ায়3।
সংক্ষেপে
খাবারের ধরন
কারণ
সাদা রুটি, পাস্তা, ময়দা
চুলকে দুর্বল ও পাতলা করে
চিনি ও মিষ্টি
প্রোটিন শোষণ বাধাগ্রস্ত করে, চুল পড়ায়
প্রসেসড/প্যাকেটজাত খাবার
পুষ্টিহীন ও ক্ষতিকর উপাদান থাকে
অতিরিক্ত ভিটামিন এ
চুল পড়ার হার বাড়ায়
অ্যালকোহল
চুলের পুষ্টি কমায়, চুল পড়া বাড়ায়
এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চুল গজানোর জন্য পুষ্টিকর, প্রাকৃতিক ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা জরুরি351।
নতুন চুল গজানোর জন্য নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ, প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত কার্যকর। বাজারে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফল দেয়। নিয়মিত যত্ন নিয়ে এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে মাথায় নতুন চুল গজানো সম্ভব1234।
চুল পড়া বন্ধ করে ঘন চুল গজানোর সহজ উপায়
April 20, 2025
Health
No Comments
Author
চুল মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু বয়স, পরিবেশগত প্রভাব, পুষ্টির অভাব কিংবা বংশগত কারণে অনেকেরই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এতে আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং মন খারাপও হয়। তাই নতুন চুল গজানোর উপায় জানা এবং সেগুলো নিয়মিত অনুসরণ করা খুবই জরুরি। নতুন চুল গজানোর জন্য মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পকে উদ্দীপিত করা, রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো এবং সঠিক পুষ্টি সরবরাহ করা প্রয়োজন। নিচে চুল গজানোর কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো।
চুল গজানোর কার্যকর উপায়
ম্যাসাজ ও স্ক্যাল্প উদ্দীপনানিয়মিত মাথায় ম্যাসাজ করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, যা চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেল নিয়ে ৫-৬ মিনিট ম্যাসাজ করলে চুলের পুষ্টি বাড়ে। এছাড়া চা এর নির্যাস মিশিয়ে ম্যাসাজ করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়1।
ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার ব্যবহার
স্ক্যাল্পে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার দিয়ে ৫-১০ মিনিট ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করলে চুল পড়ার স্থানগুলোতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়1।
প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার
কেশরাজ বা কালোকেশী পাতা: লবণপানি দিয়ে ধুয়ে রস করে মাথায় লাগিয়ে উষ্ণ নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করলে নতুন চুল গজায়23।
কচি বাঁশপাতা: রস করে মাথায় লাগিয়ে তিলের তেল দিয়ে মালিশ করলে চুল গজাতে সাহায্য করে2।
আদা: খোসাসহ রস করে মাথায় প্রয়োগ ও তিল-ক্যাস্টর তেলের মালিশ নতুন চুল গজানোর জন্য কার্যকর2।
আমলকি, মেথি, শিকাকাই: এই উপকরণগুলোর মিশ্রণ দিয়ে মাথায় প্রয়োগ করলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং নতুন চুল গজায়23।
ঘরোয়া টোটকা ও যত্ন
আমলকি ও মেথি চুলের জন্য পুষ্টিকর এবং খুশকি কমায়3।
অ্যালো ভেরা জেল সপ্তাহে কয়েকবার মাথায় মেখে রাখা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে3।
জবা ফুলের পাপড়ি নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্নানের আগে মাথায় লাগালে চুল ঘন হয়3।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং অতিরিক্ত আঁচড়ানো এড়ানো উচিত1।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
চুল গজানোর জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধ, পেয়ারা, লেবু, কমলা ইত্যাদি খেলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়1।
ম্যাসাজ করার পরে চুল গজানোর জন্য সঠিক খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ চুলের বৃদ্ধি প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ওপর নির্ভর করে। ম্যাসাজের মাধ্যমে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ানো হলে শরীর থেকে চুলের ফলিকলে পুষ্টি পৌঁছানো আরও কার্যকর হয়। তাই নিচের খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে নতুন চুল গজানোতে সাহায্য পাওয়া যায়।
ম্যাসাজের পরে চুল গজানোর জন্য উপযোগী খাবার
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
চুল মূলত কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে গঠিত। তাই মাছ, মাংস, ডিম, পনির, দুধ, সয়াবিন, মটরশুঁটি, বাদাম ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে145।
ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড
তৈলাক্ত মাছ যেমন ইলিশ, কই, মলা, চাপিলা মাছ এবং বাদাম জাতীয় খাবার ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা চুলকে ঘন ও কালো রাখতে সাহায্য করে256।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হলুদ সবজি ও ফলমূল
গাজর, মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ, যা চুলের ফলিকলকে সুস্থ রাখতে সহায়ক2।
আয়রন ও জিঙ্কযুক্ত খাবার
আয়রন ও জিঙ্ক চুলের কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে এবং নতুন টিস্যু তৈরিতে সাহায্য করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, ডাল, ছোলা, টক দই এই উপাদানে সমৃদ্ধ24।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টকজাতীয় ফল
পেয়ারা, লেবু, কমলা, আমলকি, মাল্টা, আঙুর, কাঁচা আম, কিউই ইত্যাদি ভিটামিন সি দেয়, যা আয়রনের শোষণ বাড়িয়ে চুল পড়া কমায় এবং চুল গজাতে সাহায্য করে245।
বীজ ও বাদাম
চিনাবাদাম, শিম, চিয়া সিড, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, তিসির বীজ ইত্যাদি চুলের জন্য দরকারি বায়োটিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক ও ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে235।
শাকসবজি ও ফলমূল
পালংশাক, শজনে ডাঁটা, শসা ইত্যাদি ভিটামিন, আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে235।
সংক্ষেপে
ম্যাসাজের পরে এই ধরনের পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে চুলের বৃদ্ধিতে দ্রুত এবং কার্যকর ফল পাওয়া যায়1245। এছাড়া পর্যাপ্ত পানি পান এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন চুলের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
চুল গজানোর জন্য যেসব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়, সেগুলো মূলত চুলের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়ায়। নিচে চুল গজানোর জন্য এড়ানো উচিত এমন খাবারের তালিকা ও কারণ দেওয়া হলো:
চুল গজানোর জন্য এড়ানো উচিত এমন খাবার
সাদা রুটি, পাস্তা, সাদা চাল, ময়দা জাতীয় খাবার
এই ধরনের খাবার চুলকে পাতলা ও দুর্বল করে ফেলে। ময়দা ও সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল, সাদা আটা বা লাল আটা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়3।
চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার
চিনি শরীর থেকে প্রোটিন শোষণকে বাধাগ্রস্ত করে, যা চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। অতিরিক্ত চিনি চুল পড়ার অন্যতম কারণ3।
প্রসেসড বা প্যাকেটজাত খাবার
এগুলোতে পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে এবং শরীর ও চুলের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্য খারাপ করে3।
অতিরিক্ত ভিটামিন এ যুক্ত খাবার বা সাপ্লিমেন্ট
বেশি পরিমাণ ভিটামিন এ গ্রহণ করলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে5।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল চুলের পুষ্টি শোষণ কমিয়ে দেয় এবং চুল পড়ার হার বাড়ায়3।
সংক্ষেপে
এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চললে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চুল গজানোর জন্য পুষ্টিকর, প্রাকৃতিক ও ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা জরুরি351।
নতুন চুল গজানোর জন্য নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ, প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা অত্যন্ত কার্যকর। বাজারে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফল দেয়। নিয়মিত যত্ন নিয়ে এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে মাথায় নতুন চুল গজানো সম্ভব1234।
চুল পড়া বন্ধ করে ঘন চুল গজানোর সহজ উপায়