হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীর নিষিদ্ধ খাবার


হাইপোথাইরয়েডিজম হলো একটি থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, যেখানে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়ে যায়। এই হরমোন শরীরের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হরমোনের অভাবে শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম ধীর হয়ে যায়, যার ফলে ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, ঠান্ডা লাগা, চুল পড়া, ত্বকের শুষ্কতা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কিছু খাবার থাইরয়েডের কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের জন্য কিছু খাবার নিষিদ্ধ বা সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।

হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীর নিষিদ্ধ খাবার

হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীর নিষিদ্ধ খাবার

১. গয়ট্রোজেনাস খাবার
গয়ট্রোজেনাস খাবার হলো এমন খাবার যা থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণ কমিয়ে দেয় এবং থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, পালং শাক, সয়া এবং সয়া-জাতীয় খাবার। তবে রান্না করলে এই প্রভাব অনেকটাই কমে যায়।

২. কলের পানি
কলের পানিতে ফ্লোরিন এবং ক্লোরিন থাকে যা থাইরয়েডের জন্য প্রয়োজনীয় আয়োডিনের শোষণে বাধা দেয়। তাই কলের পানি সরাসরি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত এবং পানীয় জল অবশ্যই ফুটিয়ে খাওয়া উচিত।

৩. কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়
কফিতে থাকা ক্যাফেইন থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং ওষুধের শোষণেও প্রভাব ফেলে। তাই কফি, চা, সোডা বা অন্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় সীমিত পরিমাণে বা এড়িয়ে চলাই ভালো।

৪. চিনিযুক্ত ও রিফাইন্ড খাবার
অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি, ফাস্ট ফুড শরীরের মেটাবলিজম ধীর করে এবং ওজন বৃদ্ধি করে, যা হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।

৫. পাস্তুরিত দুধ ও দুধজাতীয় খাবার
কিছু ক্ষেত্রে দুধ ও দুধজাতীয় খাবার থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।

৬. তিসির তেল
তিসির তেলে থাকা কিছু উপাদান থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে, তাই এড়িয়ে চলাই ভালো।

৭. পীচ ও স্ট্রবেরি
এই ফলগুলোতে কিছু রাসায়নিক থাকে যা থাইরয়েডের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে, তাই সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত।

হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের খাবার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ কী

হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের খাবার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ মূলত থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখা এবং রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য দেওয়া হয়। কারণ কিছু খাবার থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণ কমিয়ে দেয় বা হরমোনের কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি করে, যা রোগের অবনতি ঘটাতে পারে123

প্রধান কারণসমূহ ও সুপারিশসমূহ

  • গয়ট্রোজেনাস খাবার এড়ানো: বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, সয়া পণ্য ইত্যাদি গয়ট্রোজেন নামক যৌগ ধারণ করে যা থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দেয়। এই ধরনের খাবার কাঁচা খাওয়া উচিত নয়, রান্না করলে প্রভাব কিছুটা কমে যায়, তবে পরিমিতভাবে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়125

  • অবিশুদ্ধ কলের পানি এড়ানো: কলের পানিতে থাকা ফ্লোরিন ও ক্লোরিন আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়, তাই পানি অবশ্যই ফুটিয়ে খাওয়া উচিত2

  • ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় সীমিত করা: কফি, চা ও অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং ওষুধের শোষণেও প্রভাব ফেলে, তাই এগুলো এড়ানো বা সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করার পরামর্শ থাকে25

  • চিনিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো: অতিরিক্ত চিনি ও রিফাইন্ড ময়দাজাতীয় খাবার মেটাবলিজম ধীর করে ওজন বৃদ্ধি করে, যা হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের জন্য ক্ষতিকর23

  • পাস্তুরিত দুধ ও দুধজাতীয় খাবার সীমিত করা: কিছু ক্ষেত্রে এগুলো থাইরয়েড ওষুধের কার্যকারিতা কমাতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত2

  • অতিরিক্ত সোডিয়াম ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো: ফাস্ট ফুড, সসেজ, হিমায়িত খাবার ইত্যাদি উচ্চ সোডিয়াম ও অস্বাস্থ্যকর উপাদান ধারণ করে, যা থাইরয়েডের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে36

  • হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের খাবার নিষিদ্ধ করার জন্য কোন খাবার সবচেয়ে বেশি উচিত

  • হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ বা সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া খাবার হলো গয়ট্রোজেনাস জাতীয় সবজি যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, মুলা, শিম, পালং শাক এবং সয়া পণ্য। এগুলো থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে এবং কাঁচা অবস্থায় খেলে প্রভাব বেশি হয়, তাই এই সবজি রান্না করে বা পরিমিত মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়12378

    এছাড়া, কলের অবিশুদ্ধ পানি যেহেতু এতে ক্লোরিন ও ফ্লোরিন থাকে যা আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়, তাই অবশ্যই পানি ফুটিয়ে খাওয়া উচিত13

    কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং ওষুধের শোষণেও প্রভাব ফেলে, তাই এগুলো সীমিত বা এড়ানো উচিত1367

    চিনিযুক্ত খাবার ও রিফাইন্ড ময়দা ও ময়দাজাতীয় খাবার ওজন বৃদ্ধি করে এবং মেটাবলিজমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাই এগুলোও এড়ানো বা সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়1356

    সংক্ষেপে, হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত গয়ট্রোজেনাস সবজি এবং সয়া পণ্য, কারণ এগুলো সরাসরি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি করে। এছাড়া কলের অবিশুদ্ধ পানি, কফি, চিনিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি12378

  • হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের খাবার নিষিদ্ধ করার জন্য কোন খাবার সবচেয়ে ক্ষতিকারক

  • হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক খাবার হলো গয়ট্রোজেনাস জাতীয় সবজি এবং সয়া পণ্য। এই খাবারে থাকা গয়ট্রোজেন নামক যৌগ থাইরয়েড গ্রন্থির আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়, যা থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও কার্যকারিতাকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে1237

    বিশেষ করে কাঁচা অবস্থায় বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, মুলা, পালং শাক এবং সয়া পণ্য (যেমন সয়া দুধ, টফু) বেশি ক্ষতিকর, কারণ এগুলো থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এবং রোগের অবনতি ঘটাতে পারে1267

    এছাড়া, অবিশুদ্ধ কলের পানি (যাতে ক্লোরিন ও ফ্লোরিন থাকে) আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়, তাই এটি সরাসরি পান করা উচিত নয়2। কফি ও অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় থাইরয়েড হরমোনের শোষণ ও কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, তাই এগুলো সীমিত বা এড়ানো উচিত267

    অতিরিক্ত চিনি, রিফাইন্ড ময়দা ও প্রক্রিয়াজাত খাবারও ওজন বৃদ্ধি ও মেটাবলিজম ধীর করে, যা হাইপোথাইরয়েডিজমের উপসর্গ বাড়াতে পারে236

    সারসংক্ষেপে, গয়ট্রোজেনাস সবজি ও সয়া পণ্যই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক, কারণ এগুলো সরাসরি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও কার্যকারিতায় বাধা সৃষ্টি করে, ফলে রোগের অবনতি ঘটায়। তাই এই ধরনের খাবার পরিমিত বা রান্না করে খাওয়া উচিত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি127

  • হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীর নিষিদ্ধ খাবার

উপসংহার

হাইপোথাইরয়েডিজম রোগীদের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। উপরে উল্লেখিত নিষিদ্ধ খাবারগুলো এড়িয়ে চললে থাইরয়েডের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে খাদ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং ওষুধ সঠিকভাবে গ্রহণ করাও অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।



Recent Posts