ব্রা পরিধান শুধুমাত্র আরামের জন্য নয়, বরং এটি স্তনের স্বাস্থ্য এবং আকার রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক মাপের ব্রা না পরলে শারীরিক অস্বস্তি, ব্যথা এবং এমনকি স্তনের আকারে পরিবর্তনও আসতে পারে। তাই সঠিক ব্রা নির্বাচন করা খুবই জরুরি। নিচে সঠিক ব্রা বাছাইয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও টিপস তুলে ধরা হলো।
১. মাপ নেওয়া:
ব্রা কেনার আগে নিজের সঠিক মাপ জানা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে বুকের নিচের অংশের (আন্ডারবাস্ট) মাপ নিন, যা আপনার ব্রার ব্যান্ড সাইজ নির্ধারণ করবে। এরপর বুকের উপরের অংশের (ওভারবাস্ট) মাপ নিন, যা কাপ সাইজ নির্ধারণে সাহায্য করবে346। মাপ নেওয়ার সময় ফিটিং টেপ ব্যবহার করুন এবং খুব টাইট বা ঢিলা না করে পরিমাপ নিন।
২. কাপ সাইজ ও ব্যান্ড সাইজ বোঝা:
আপনার আন্ডারবাস্ট ওভারবাস্টের পার্থক্য অনুযায়ী কাপ সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আন্ডারবাস্ট ৩২ এবং ওভারবাস্ট ৩৬ হলে কাপ সাইজ হবে D। সঠিক কাপ সাইজ না হলে ব্রা ঢিলা বা টাইট হতে পারে, যা আরামদায়ক নয়56।
৩. ব্রার ধরন নির্বাচন:
বিভিন্ন ধরনের ব্রা যেমন পুশ-আপ, স্পোর্টস, সিমলেস, ফুল কভারেজ ইত্যাদি থাকে। আপনার প্রয়োজন ও পোশাকের ধরন অনুযায়ী ব্রা নির্বাচন করুন। উদাহরণস্বরূপ, ভারী স্তনের জন্য ফুল কভারেজ ব্রা ভালো46।
৪. ফিটিং ও আরাম:
ব্রা পরার সময় স্ট্র্যাপ যেন কাঁধে সঠিকভাবে বসে এবং ঢিলা না হয় তা নিশ্চিত করুন। কাপগুলি যেন পুরোপুরি স্তনের উপরে ঠিকভাবে বসে এবং কোনো অংশে চাপ বা স্পিলওভার না হয়256। ব্রা পরার পর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন যাতে ব্রার রং ও ধরন পোশাকের সাথে মানানসই হয়।
৫. ফ্যাব্রিক ও গুণগত মান:
শরীরের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো আরামদায়ক ফ্যাব্রিক বেছে নিন। তুলো ও এলাস্টেন মিশ্রিত কাপড় বেশি আরামদায়ক এবং ত্বকের জন্য ভালো56। অ্যালার্জি প্রতিরোধী ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
৬. নিয়মিত পরিমাপ ও পরিবর্তন:
শরীরের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্রার মাপও পরিবর্তিত হতে পারে। তাই প্রতি ৬ মাস বা বছরে একবার মাপ নিয়ে ব্রা পরিবর্তন করুন16।
সঠিক ব্রা নির্বাচন করলে শুধু আরামই পাবেন না, বরং স্তনের সঠিক আকৃতি বজায় থাকবে এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন। তাই ব্রা কেনার সময় এই নিয়মগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
সঠিক মাপের ব্রা নির্বাচন করার কৌশল কী
সঠিক মাপের ব্রা পরিধান করা আরামের পাশাপাশি স্তনের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ভুল সাইজের ব্রা পরলে অস্বস্তি, ব্যথা এবং স্তনের আকারে পরিবর্তন হতে পারে। তাই সঠিক ব্রা নির্বাচন করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণ করতে হয়।
১. সঠিক মাপ নেওয়া:
প্রথমেই একটি নন-প্যাডেড, আরামদায়ক ব্রা পরিধান করুন যা খুব টাইট বা ঢিলা নয়7। এরপর মেজারিং টেপ ব্যবহার করে বুকের নিচের অংশ (আন্ডারবাস্ট) মাপুন, যা ব্রার ব্যান্ড সাইজ নির্ধারণ করবে47। মাপ নেওয়ার সময় টেপটি খুব টাইট বা ঢিলা না করে ঠিকমতো বসাতে হবে5।
২. কাপ সাইজ নির্ধারণ:
বুকের উপরের অংশ (ওভারবাস্ট) মাপুন, যা কাপ সাইজ নির্ধারণে সাহায্য করবে47। কাপ সাইজ বের করতে ওভারবাস্ট থেকে আন্ডারবাস্টের মাপ বিয়োগ করুন। পার্থক্যের ভিত্তিতে কাপ সাইজ যেমন ১ হলে A, ২ হলে B, ৩ হলে C ইত্যাদি34।
৩. ফিটিং পরীক্ষা করুন:
ব্রা পরার সময় স্ট্র্যাপ যেন কাঁধে সঠিকভাবে বসে এবং ঢিলা বা খুব টাইট না হয় তা নিশ্চিত করুন। কাপগুলি যেন পুরোপুরি স্তনের উপরে ঠিকভাবে বসে এবং কোনো অংশে চাপ বা স্পিলওভার না হয়7।
৪. সঠিক ব্রার ধরন নির্বাচন:
আপনার প্রয়োজন ও শারীরিক গঠন অনুযায়ী ব্রার ধরন বাছাই করুন—যেমন পুশ-আপ, সিমলেস, স্পোর্টস বা মিনিমাইজার ব্রা57। বিভিন্ন স্টাইলের ব্রার সাইজে সামান্য পার্থক্য হতে পারে, তাই ট্রায়াল করে দেখাই ভালো7।
৫. ফ্যাব্রিক ও গুণগত মান:
শরীরের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো আরামদায়ক ফ্যাব্রিক বেছে নিন। তুলো বা এলাস্টেন মিশ্রিত কাপড় বেশি আরামদায়ক এবং ত্বকের জন্য ভালো6।
৬. নিয়মিত পরিমাপ ও পরিবর্তন:
শরীরের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্রার মাপও পরিবর্তিত হতে পারে। তাই প্রতি ৬ মাস বা বছরে একবার মাপ নিয়ে ব্রা পরিবর্তন করুন15।
এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনি সঠিক মাপের ব্রা নির্বাচন করতে পারবেন, যা আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি স্তনের সঠিক আকৃতি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করবে137।
ব্রা নির্বাচনের সময় কোন ধরনের ব্রা বেছে নেওয়া উচিত
ব্রা নির্বাচন করার সময় আপনার স্তনের আকার, শারীরিক গঠন, এবং পরিধানের উদ্দেশ্য বিবেচনা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে বিভিন্ন পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রা বাছাইয়ের কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো:
১. দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য:
আরামদায়ক এবং সঠিক সাইজের ব্রা বেছে নিন। সাধারণত সুতির (কটন) বা এলাস্টেন মিশ্রিত ব্রা ভালো হয়, যা ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সুবিধা দেয়126। টি-শার্ট ব্রা বা ফুল কভারেজ ব্রা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত12।
২. ভারী স্তনের জন্য:
যাঁদের স্তন ভারী, তাদের জন্য ফুল কভারেজ ব্রা বা মিনিমাইজার ব্রা বেছে নেওয়া উচিত। মিনিমাইজার ব্রা স্তনের আকারকে কম দেখায় এবং সঠিক সাপোর্ট দেয়15। পুশ-আপ বা প্যাডেড ব্রা ভারী স্তনের জন্য কম সুবিধাজনক হতে পারে5।
৩. এক্সারসাইজ বা স্পোর্টসের জন্য:
ব্যায়ামের সময় স্পোর্টস ব্রা পরা উচিত, যা ব্রেস্টকে সঠিকভাবে সাপোর্ট করে এবং অস্বস্তি কমায়25।
৪. বিশেষ পোশাকের জন্য:
লো-কাট টপ বা গাউনের জন্য পুশ-আপ ব্রা ভালো, কারণ এটি ক্লিভেজ লাইন সুন্দরভাবে তুলে ধরে এবং পোশাকের নিচ থেকে দেখা যায় না3।
স্ট্র্যাপলেস ব্রা বা সিমলেস ব্রা বিশেষ পোশাকের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়17।
গরমকালে ওয়্যার ফ্রি, স্ট্র্যাপলেস, বা লংলাইন ব্রা পরা স্বস্তিদায়ক7।
৫. বয়স ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী:
নবীনদের জন্য নন-প্যাডেড, ফুল কভারেজ, আরামদায়ক ব্রা বেছে নেওয়া ভালো2।
নতুন মায়েদের জন্য ম্যাটারনিটি ব্রা বিশেষ সুবিধাজনক2।
৬. ফ্যাব্রিক ও আরাম:
সুতি ও এলাস্টেন মিশ্রিত নরম, ব্রিথেবল ফেব্রিক বেছে নিন যা ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি না করে এবং দীর্ঘক্ষণ পরেও আরাম দেয়16।
৭. সঠিক ফিটিং:
ব্রার স্ট্র্যাপ যেন কাঁধে সঠিকভাবে বসে, খুব টাইট বা ঢিলা না হয়। কাপগুলি যেন পুরোপুরি স্তনের ওপর ঠিকমতো বসে এবং কোনো অংশে চাপ বা স্পিলওভার না হয়1।
সারসংক্ষেপে, ব্রা বাছাইয়ের সময় আপনার স্তনের আকার, পোশাকের ধরন, আরাম এবং স্বাস্থ্য বিবেচনা করে সঠিক ধরনের ব্রা নির্বাচন করুন। ভুল সাইজ বা ধরনের ব্রা পরিধান করলে অস্বস্তি ও স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, তাই সবসময় মানানসই ও আরামদায়ক ব্রা বেছে নেওয়া উচিত।
ব্রা নির্বাচনের সময় কোন ধরনের ব্রা পরলে অ্যালার্জি হতে পারে
ব্রা পরিধানে ত্বকের অ্যালার্জি বা র্যাশের প্রধান কারণ হলো ব্রার কাপড়ের গুণগত মান, ফিটিং, এবং পরিচ্ছন্নতার অভাব। নিচে অ্যালার্জি সৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি এমন ব্রার ধরন ও কারণগুলো তুলে ধরা হলো:
কম মানের বা সিন্থেটিক ফেব্রিকের ব্রা:
প্লাস্টিক বা পলিয়েস্টার জাতীয় সিন্থেটিক কাপড়ের ব্রা ত্বকের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ করে দেয়, যার ফলে ঘাম জমে র্যাশ, চুলকানি ও অ্যালার্জি হতে পারে। ভালো মানের, শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য তুলো বা এলাস্টেন মিশ্রিত ফেব্রিক বেছে নেওয়া উচিত15।
অত্যন্ত আঁটোসাঁটো বা খুব ঢিলা ব্রা:
খুব টাইট ব্রা ত্বকে ঘষা সৃষ্টি করে যা চুলকানি ও র্যাশের কারণ হতে পারে। আবার ঢিলা ব্রা সঠিক সাপোর্ট না দেওয়ায় ঘষামাজা বাড়ে এবং ত্বকে সমস্যা হতে পারে5।
ভুল মাপের ব্রা:
যদি ব্রার কাপ সঠিকভাবে বসে না বা স্ট্র্যাপ খুব টাইট হয়, তাহলে ত্বকে চাপ পড়ে এবং ঘষা লাগে, যা অ্যালার্জি ও চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে15।
অপরিষ্কার বা নিয়মিত ধোয়া না হওয়া ব্রা:
ব্রা নিয়মিত ধোয়া না হলে ঘাম, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে ত্বকে সংক্রমণ ও অ্যালার্জি হতে পারে3।
কেমিক্যাল বা বাজে ডিটারজেন্টে ধোয়া ব্রা:
অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্টে ধোয়া ব্রা ত্বকে জ্বালা ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে3।
স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার:
যদিও স্পোর্টস ব্রা সাধারণত আরামদায়ক ও সাপোর্টিভ, তবে যদি ভালো মানের না হয় বা সঠিক ফিটিং না থাকে, ঘাম জমে ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জি হতে পারে। তাই স্পোর্টস ব্রা নির্বাচন করার সময় ভালো মানের ও শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য ফেব্রিক বেছে নিতে হবে1।
সারসংক্ষেপে, অ্যালার্জি এড়াতে ব্রা নির্বাচন করার সময় অবশ্যই ভালো মানের, শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য তুলো বা এলাস্টেন মিশ্রিত ফেব্রিকের ব্রা বেছে নিতে হবে, সঠিক মাপের ব্রা পরতে হবে এবং ব্রা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। খুব আঁটোসাঁটো বা ঢিলা ব্রা পরা থেকে বিরত থাকা উচিত135।
উপসংহার
সঠিক ব্রা নির্বাচন করা শুধু আরামের জন্য নয়, স্তনের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মানের, শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য ফেব্রিকের ব্রা বেছে নিয়ে সঠিক মাপের ব্রা পরিধান করলে অ্যালার্জি, চুলকানি ও অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকা যায়। পাশাপাশি নিয়মিত ব্রা পরিষ্কার রাখা এবং সময়ে সময়ে মাপ পরিবর্তন করাও জরুরি। তাই নিজের শরীরের প্রয়োজন ও আরাম বিবেচনা করে সচেতনভাবে ব্রা নির্বাচন করলে আপনি দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যময় ও আরামদায়ক জীবনযাপন করতে পারবেন।
সঠিক ব্রা নির্বাচন কিভাবে করবেন?
April 24, 2025
Uncategorized
No Comments
Author
ব্রা পরিধান শুধুমাত্র আরামের জন্য নয়, বরং এটি স্তনের স্বাস্থ্য এবং আকার রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক মাপের ব্রা না পরলে শারীরিক অস্বস্তি, ব্যথা এবং এমনকি স্তনের আকারে পরিবর্তনও আসতে পারে। তাই সঠিক ব্রা নির্বাচন করা খুবই জরুরি। নিচে সঠিক ব্রা বাছাইয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ও টিপস তুলে ধরা হলো।
১. মাপ নেওয়া:
ব্রা কেনার আগে নিজের সঠিক মাপ জানা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে বুকের নিচের অংশের (আন্ডারবাস্ট) মাপ নিন, যা আপনার ব্রার ব্যান্ড সাইজ নির্ধারণ করবে। এরপর বুকের উপরের অংশের (ওভারবাস্ট) মাপ নিন, যা কাপ সাইজ নির্ধারণে সাহায্য করবে346। মাপ নেওয়ার সময় ফিটিং টেপ ব্যবহার করুন এবং খুব টাইট বা ঢিলা না করে পরিমাপ নিন।
২. কাপ সাইজ ও ব্যান্ড সাইজ বোঝা:
আপনার আন্ডারবাস্ট ওভারবাস্টের পার্থক্য অনুযায়ী কাপ সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আন্ডারবাস্ট ৩২ এবং ওভারবাস্ট ৩৬ হলে কাপ সাইজ হবে D। সঠিক কাপ সাইজ না হলে ব্রা ঢিলা বা টাইট হতে পারে, যা আরামদায়ক নয়56।
৩. ব্রার ধরন নির্বাচন:
বিভিন্ন ধরনের ব্রা যেমন পুশ-আপ, স্পোর্টস, সিমলেস, ফুল কভারেজ ইত্যাদি থাকে। আপনার প্রয়োজন ও পোশাকের ধরন অনুযায়ী ব্রা নির্বাচন করুন। উদাহরণস্বরূপ, ভারী স্তনের জন্য ফুল কভারেজ ব্রা ভালো46।
৪. ফিটিং ও আরাম:
ব্রা পরার সময় স্ট্র্যাপ যেন কাঁধে সঠিকভাবে বসে এবং ঢিলা না হয় তা নিশ্চিত করুন। কাপগুলি যেন পুরোপুরি স্তনের উপরে ঠিকভাবে বসে এবং কোনো অংশে চাপ বা স্পিলওভার না হয়256। ব্রা পরার পর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন যাতে ব্রার রং ও ধরন পোশাকের সাথে মানানসই হয়।
৫. ফ্যাব্রিক ও গুণগত মান:
শরীরের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো আরামদায়ক ফ্যাব্রিক বেছে নিন। তুলো ও এলাস্টেন মিশ্রিত কাপড় বেশি আরামদায়ক এবং ত্বকের জন্য ভালো56। অ্যালার্জি প্রতিরোধী ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
৬. নিয়মিত পরিমাপ ও পরিবর্তন:
শরীরের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্রার মাপও পরিবর্তিত হতে পারে। তাই প্রতি ৬ মাস বা বছরে একবার মাপ নিয়ে ব্রা পরিবর্তন করুন16।
সঠিক ব্রা নির্বাচন করলে শুধু আরামই পাবেন না, বরং স্তনের সঠিক আকৃতি বজায় থাকবে এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন। তাই ব্রা কেনার সময় এই নিয়মগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।
সঠিক মাপের ব্রা নির্বাচন করার কৌশল কী
সঠিক মাপের ব্রা পরিধান করা আরামের পাশাপাশি স্তনের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। ভুল সাইজের ব্রা পরলে অস্বস্তি, ব্যথা এবং স্তনের আকারে পরিবর্তন হতে পারে। তাই সঠিক ব্রা নির্বাচন করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণ করতে হয়।
১. সঠিক মাপ নেওয়া:
প্রথমেই একটি নন-প্যাডেড, আরামদায়ক ব্রা পরিধান করুন যা খুব টাইট বা ঢিলা নয়7। এরপর মেজারিং টেপ ব্যবহার করে বুকের নিচের অংশ (আন্ডারবাস্ট) মাপুন, যা ব্রার ব্যান্ড সাইজ নির্ধারণ করবে47। মাপ নেওয়ার সময় টেপটি খুব টাইট বা ঢিলা না করে ঠিকমতো বসাতে হবে5।
২. কাপ সাইজ নির্ধারণ:
বুকের উপরের অংশ (ওভারবাস্ট) মাপুন, যা কাপ সাইজ নির্ধারণে সাহায্য করবে47। কাপ সাইজ বের করতে ওভারবাস্ট থেকে আন্ডারবাস্টের মাপ বিয়োগ করুন। পার্থক্যের ভিত্তিতে কাপ সাইজ যেমন ১ হলে A, ২ হলে B, ৩ হলে C ইত্যাদি34।
৩. ফিটিং পরীক্ষা করুন:
ব্রা পরার সময় স্ট্র্যাপ যেন কাঁধে সঠিকভাবে বসে এবং ঢিলা বা খুব টাইট না হয় তা নিশ্চিত করুন। কাপগুলি যেন পুরোপুরি স্তনের উপরে ঠিকভাবে বসে এবং কোনো অংশে চাপ বা স্পিলওভার না হয়7।
৪. সঠিক ব্রার ধরন নির্বাচন:
আপনার প্রয়োজন ও শারীরিক গঠন অনুযায়ী ব্রার ধরন বাছাই করুন—যেমন পুশ-আপ, সিমলেস, স্পোর্টস বা মিনিমাইজার ব্রা57। বিভিন্ন স্টাইলের ব্রার সাইজে সামান্য পার্থক্য হতে পারে, তাই ট্রায়াল করে দেখাই ভালো7।
৫. ফ্যাব্রিক ও গুণগত মান:
শরীরের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো আরামদায়ক ফ্যাব্রিক বেছে নিন। তুলো বা এলাস্টেন মিশ্রিত কাপড় বেশি আরামদায়ক এবং ত্বকের জন্য ভালো6।
৬. নিয়মিত পরিমাপ ও পরিবর্তন:
শরীরের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ব্রার মাপও পরিবর্তিত হতে পারে। তাই প্রতি ৬ মাস বা বছরে একবার মাপ নিয়ে ব্রা পরিবর্তন করুন15।
এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনি সঠিক মাপের ব্রা নির্বাচন করতে পারবেন, যা আরামদায়ক হওয়ার পাশাপাশি স্তনের সঠিক আকৃতি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করবে137।
ব্রা নির্বাচনের সময় কোন ধরনের ব্রা বেছে নেওয়া উচিত
ব্রা নির্বাচন করার সময় আপনার স্তনের আকার, শারীরিক গঠন, এবং পরিধানের উদ্দেশ্য বিবেচনা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিচে বিভিন্ন পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রা বাছাইয়ের কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো:
১. দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য:
আরামদায়ক এবং সঠিক সাইজের ব্রা বেছে নিন। সাধারণত সুতির (কটন) বা এলাস্টেন মিশ্রিত ব্রা ভালো হয়, যা ত্বকের সঙ্গে খাপ খায় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সুবিধা দেয়126। টি-শার্ট ব্রা বা ফুল কভারেজ ব্রা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত12।
২. ভারী স্তনের জন্য:
যাঁদের স্তন ভারী, তাদের জন্য ফুল কভারেজ ব্রা বা মিনিমাইজার ব্রা বেছে নেওয়া উচিত। মিনিমাইজার ব্রা স্তনের আকারকে কম দেখায় এবং সঠিক সাপোর্ট দেয়15। পুশ-আপ বা প্যাডেড ব্রা ভারী স্তনের জন্য কম সুবিধাজনক হতে পারে5।
৩. এক্সারসাইজ বা স্পোর্টসের জন্য:
ব্যায়ামের সময় স্পোর্টস ব্রা পরা উচিত, যা ব্রেস্টকে সঠিকভাবে সাপোর্ট করে এবং অস্বস্তি কমায়25।
৪. বিশেষ পোশাকের জন্য:
লো-কাট টপ বা গাউনের জন্য পুশ-আপ ব্রা ভালো, কারণ এটি ক্লিভেজ লাইন সুন্দরভাবে তুলে ধরে এবং পোশাকের নিচ থেকে দেখা যায় না3।
স্ট্র্যাপলেস ব্রা বা সিমলেস ব্রা বিশেষ পোশাকের সঙ্গে ব্যবহার করা যায়17।
গরমকালে ওয়্যার ফ্রি, স্ট্র্যাপলেস, বা লংলাইন ব্রা পরা স্বস্তিদায়ক7।
৫. বয়স ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী:
নবীনদের জন্য নন-প্যাডেড, ফুল কভারেজ, আরামদায়ক ব্রা বেছে নেওয়া ভালো2।
নতুন মায়েদের জন্য ম্যাটারনিটি ব্রা বিশেষ সুবিধাজনক2।
৬. ফ্যাব্রিক ও আরাম:
সুতি ও এলাস্টেন মিশ্রিত নরম, ব্রিথেবল ফেব্রিক বেছে নিন যা ত্বকে অ্যালার্জি সৃষ্টি না করে এবং দীর্ঘক্ষণ পরেও আরাম দেয়16।
৭. সঠিক ফিটিং:
ব্রার স্ট্র্যাপ যেন কাঁধে সঠিকভাবে বসে, খুব টাইট বা ঢিলা না হয়। কাপগুলি যেন পুরোপুরি স্তনের ওপর ঠিকমতো বসে এবং কোনো অংশে চাপ বা স্পিলওভার না হয়1।
সারসংক্ষেপে, ব্রা বাছাইয়ের সময় আপনার স্তনের আকার, পোশাকের ধরন, আরাম এবং স্বাস্থ্য বিবেচনা করে সঠিক ধরনের ব্রা নির্বাচন করুন। ভুল সাইজ বা ধরনের ব্রা পরিধান করলে অস্বস্তি ও স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, তাই সবসময় মানানসই ও আরামদায়ক ব্রা বেছে নেওয়া উচিত।
ব্রা নির্বাচনের সময় কোন ধরনের ব্রা পরলে অ্যালার্জি হতে পারে
ব্রা পরিধানে ত্বকের অ্যালার্জি বা র্যাশের প্রধান কারণ হলো ব্রার কাপড়ের গুণগত মান, ফিটিং, এবং পরিচ্ছন্নতার অভাব। নিচে অ্যালার্জি সৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি এমন ব্রার ধরন ও কারণগুলো তুলে ধরা হলো:
কম মানের বা সিন্থেটিক ফেব্রিকের ব্রা:
প্লাস্টিক বা পলিয়েস্টার জাতীয় সিন্থেটিক কাপড়ের ব্রা ত্বকের শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ করে দেয়, যার ফলে ঘাম জমে র্যাশ, চুলকানি ও অ্যালার্জি হতে পারে। ভালো মানের, শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য তুলো বা এলাস্টেন মিশ্রিত ফেব্রিক বেছে নেওয়া উচিত15।
অত্যন্ত আঁটোসাঁটো বা খুব ঢিলা ব্রা:
খুব টাইট ব্রা ত্বকে ঘষা সৃষ্টি করে যা চুলকানি ও র্যাশের কারণ হতে পারে। আবার ঢিলা ব্রা সঠিক সাপোর্ট না দেওয়ায় ঘষামাজা বাড়ে এবং ত্বকে সমস্যা হতে পারে5।
ভুল মাপের ব্রা:
যদি ব্রার কাপ সঠিকভাবে বসে না বা স্ট্র্যাপ খুব টাইট হয়, তাহলে ত্বকে চাপ পড়ে এবং ঘষা লাগে, যা অ্যালার্জি ও চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে15।
অপরিষ্কার বা নিয়মিত ধোয়া না হওয়া ব্রা:
ব্রা নিয়মিত ধোয়া না হলে ঘাম, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে ত্বকে সংক্রমণ ও অ্যালার্জি হতে পারে3।
কেমিক্যাল বা বাজে ডিটারজেন্টে ধোয়া ব্রা:
অতিরিক্ত রাসায়নিকযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্টে ধোয়া ব্রা ত্বকে জ্বালা ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে3।
স্পোর্টস ব্রা ব্যবহার:
যদিও স্পোর্টস ব্রা সাধারণত আরামদায়ক ও সাপোর্টিভ, তবে যদি ভালো মানের না হয় বা সঠিক ফিটিং না থাকে, ঘাম জমে ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জি হতে পারে। তাই স্পোর্টস ব্রা নির্বাচন করার সময় ভালো মানের ও শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য ফেব্রিক বেছে নিতে হবে1।
সারসংক্ষেপে, অ্যালার্জি এড়াতে ব্রা নির্বাচন করার সময় অবশ্যই ভালো মানের, শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য তুলো বা এলাস্টেন মিশ্রিত ফেব্রিকের ব্রা বেছে নিতে হবে, সঠিক মাপের ব্রা পরতে হবে এবং ব্রা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। খুব আঁটোসাঁটো বা ঢিলা ব্রা পরা থেকে বিরত থাকা উচিত135।
উপসংহার
সঠিক ব্রা নির্বাচন করা শুধু আরামের জন্য নয়, স্তনের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মানের, শ্বাসপ্রশ্বাসযোগ্য ফেব্রিকের ব্রা বেছে নিয়ে সঠিক মাপের ব্রা পরিধান করলে অ্যালার্জি, চুলকানি ও অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকা যায়। পাশাপাশি নিয়মিত ব্রা পরিষ্কার রাখা এবং সময়ে সময়ে মাপ পরিবর্তন করাও জরুরি। তাই নিজের শরীরের প্রয়োজন ও আরাম বিবেচনা করে সচেতনভাবে ব্রা নির্বাচন করলে আপনি দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যময় ও আরামদায়ক জীবনযাপন করতে পারবেন।
ব্রা